কদম দীর্ঘাকৃতির পত্রঝরা বৃক্ষ। এর ইংরেজি নাম হলো: Pigeon pea , গোত্র: Fabaceae , বৈজ্ঞানিক নাম: Cajanus cajan । গাছাটি দ্রæত বর্ধনশীল। এর উচ্চতা ১৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাকল গাঢ় ধূসর বর্ণের ও অমসৃণ। পাতা ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার, সূক্ষ্যগ্র অথবা সামান্য দীর্ঘগ্র। ফুল ক্ষুদ্র। দেখতে কমলা অথবা হলুদ রঙের মতো হয়। ফুলে সুগন্ধ আছে। এর মাথাটা গোলাকার। কদমের ফল মাংসল, গোলাকার এবং পাকলে রং হয় হলুদ।
কদমের ফল দেখত টেনিস বলের মতো। জুন- জুলাই মাসে ফুল ধরে ও পরে ফল হয়। কদম দুই ধরনের হয়ে থাকে- একটি ধারাকদম অন্যটি কেলিকদম।
কদমের ভেষজ গুণ
কদমের কান্ডের বাকলের নির্যাস কৃমিনাশক। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। হাত- পায়ের তলায় জ্বালা রোধ করে। ব্রণেও কদম পাতা কাজে লাগে। এর পাতার রসে কৃমি দূর হয়।
বর্ষা ও শরৎ কালে কমদরেণু ও কদম ফুল ব্যবহার করা হয়। কদমের বাকল সংকোচক, জ্বর ও বলকারক ওষুধ এবং সাপের দংশনে ব্যবহৃত হয়। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসাতেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- যাদের কৃমির উপদ্রব আছে তাদের কদম পাতা শুকিয়ে চুর্ণ করে ৩ গ্রামমতো সকালে ও বিকেলে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
- কদম গাছের কচি ছাল বেটে সামান্য গরম করে টিউমারের জায়গায় প্রলেপ দিলে টিউমার কমে যায় এবং ব্যথাও থাকে না।
nice bro
ReplyDeleteOmg
ReplyDelete