গাঁদা এক ধরনের অতি পরিচিত ফুল গাছ। এর ইংরেজি নাম: African Marigold , গোত্র: Aztiraceae , বৈজ্ঞানিক নাম: Tagetes erecta । গাছটি গুল্ম জাতীয়। এটি ডালপালা বিস্তার করে ছোট ঝোপের মতো হয়ে থাকে। এটি ১.০ সেমি. পর্যন্ত উঁচু হয়। এর পাতা পক্ষল, যৌগিক, বৃন্তযুক্ত, প্রতিমুখ। ফুল (মঞ্জরি) বেশ বড়, বৃন্তযুক্ত গুচ্ছকার, বহুপাপড়ি বিশিষ্ট, হলুদ বা লালচে হলুদ কিংবা কমলা বর্ণের হয়ে থাকে।
ভেষজ গুণে গাঁদা ফুল
সব ধরনের গাঁদাই সমগুণসম্পন্ন। এটি শূল শ্বাস ও বাত-পিত্তনাশক। কাটা, পোড়া, ক্ষত, চোখের রোগ, অর্শ প্রভৃতি রোগে উপকারী। এর রস রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষমতাসম্পন্ন।
গাঁদা ফুলের ব্যবহার
ওষুধে গাঁদা পাতার রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- কোনো স্থানে কেটে গেলে গাঁদা ফুলের পাতার রস অথবা পাতা বেটে কাটা স্থানে প্রলেপ দিলে হঠাৎ রক্তপড়া বন্ধ হয়, ব্যথা কমে যায় এবং কাটা অংশ তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে।
- এর রস দিয়ে ঘা ধুয়ে দিলে ঘা তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
- গুরুপাক খাবার খেয়ে অথবা বেশিক্ষণ উপবাস থেকে ¯েœহ জাতীয় খাবার খেলে অজীর্ণ হয়। এটি সারতে না সারতে আবার গুরুপাক খাবার খেলে প্রথমে আমাশয় ও পরে রক্ত আমাশয় দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে গাঁদা পাতার রস বেশ উপকারী। পাতার রস দেড় থেকে ২ চা চামচ রসে একটু চিনি মিশিয়ে দিনে দুই- তিনবার খেলে একদিনের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
- রক্তার্শে গাঁদা ফুলের রস ১ চা চামচ একটু মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার করে দুদিন খেলেই যন্ত্রণা বা রক্ত পড়া দুই- ই বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকবে না।
- হঠাৎ করে রক্তবমি বা পায়খানা – প্র¯্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া (রক্তপিত্ত) শুরু হলে ১ চা চামচ করে গাঁদা পাতার রস গরম করার পর ঠান্ডা হলে দিনে দুই-তিনবার খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
- যে কোনো কারণে চোখ লাল হলে গাঁদা ফুলের রস চোখে দিলে উপকার হয়।
- কান টাটানি বা কটকটানি হলে গাঁদা পাতার রস একটু গরম করে সকালে- বিকালে দু’বার দু- একদিন দিলেই সেরে যাবে।
- ফোড়া পকছে না, শক্ত হয়ে আছে- এরুপ ক্ষেত্রে গাঁদা পাতা বাটা প্রলেপ দিলে শিগগির পেকে যাবে এবং যন্ত্রণাও কমে যায়।
- শরীরে পচড়া হলে গাঁদা ফুলের রস আধা চামচ করে ২-৪ দিন, দিনে দুবার খেতে হবে এবং শরীরে লাগালে এতে পাচড়া সেরে যাবে।
No comments:
Post a Comment