জবা আমাদের একটি পরিচিত
ফুল। এর
ইংরেজি নাম হলো: China
Rose গোত্র: Malvaceae বৈজ্ঞানিক
নাম: Hibiscus rosa। এটি একটি ঝোপ
জাতীয় গাছ। সাধারণত
সাত-আট ফুট উচ্চতার
হয়ে থাকে। ঘন
সবুজ পাতাগুলো দেখতে ডিম্বাকৃতি।
পাতার অগ্রভাগ সরু ও কিনারা
করাতের মতো খাঁজকাটা।
এরা নানা রঙের হয়ে
থাকে। তবে
উজ্জ্বল লাল জবা ফুল
অন্যান্য জবার ফুলের চেয়ে
আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
এ রঙের ফুলের পাঁচটি
মুখ থাকে বলে একে
পঞ্চমুখী জবা বলে।
জবা ফুল ঠোঁঙা আকৃতি,
পঞ্চমুখী ও থোকা আকারের
হয়ে থাকে। জবা
ফুলে নানা ওষুধি গুণাগুণ
রয়েছে। পূজার
প্রয়োজনে, মুত্রাতিসারে, অনিয়মিত মাসিকের স্রাব, মাসিক এর
অতিরিক্ত স্রাব, চোখ ওঠা,
মাথায় টাক পড়া, হাতের
তালুতে চামড়া ওঠা ইত্যাদি
রোগে এর রয়েছে ওষুধি
গুণাগুণ।
পেট পরিষ্কারে জবা
ফুলের
ব্যবহার
হঠাৎ করে কোন অখাদ্য
দ্রব্য খাওয়া হয়ে গেলে,
যেটা খেতে অভ্যস্ত নয়,
যাকে বলা হয় অসাত্ম্য
দ্রব্য , যেমন অজান্তে মাছি,মশা, চুল অথবা
এই রকম কোন জিনিস
পেটে গিয়েছে, এর পরিণতিতে বমির
উদ্রেক হয়, অথচ বমি
হচ্ছে না ; এ ক্ষেত্রে
৪-৫ টি জবা
ফুল নিয়ে বোঁটার সঙ্গে
যে সবুজ অংশ থাকে
(যাকে বলা হয় ক্যালিকাস)
এই অংশটাকে বাদ দিয়ে ফুল
অংশটাকে চটকে সরবত করে
খেলে বমি হয়ে পেট
থেকে ওই অপদ্রব্য গুলি
সব বেরিয়ে যাবে।
যারা প্রচুর পরিমাণে পানি
পান করে আবার ঘন
ঘন প্রস্রাব করে অথচ ডায়াবেটিস
রোগী নয়, আবার অনেক
সময় দেখা যায় যে
প্রাসাব অথচ প্রস্রাব
হবে বলে মনে হয়,
এই ক্ষেত্রে জবা গাছের ছালের
রস ১ চা চামচ
নিয়ে পানিসহ কয় দিন
খেলে বহুমুত্রে অনেক উপকার পাওয়া
যায়।
যেসব নারীর মাসিক স্রাব দুই-
একদিন একটু হয়, আবার
সময় হয়ে গিয়েছে বলে
মনে হয় আদৌ হয়
না আবার হয়তো এক
মাস বা এর চেয়ে
বেশি সময় বন্ধ হয়ে
থাকে, এ ক্ষেত্রে দু-তিনটি পঞ্চমুখী জবা
ফুলের কুঁড়ি ও দারুচিনি
আধা অথবা এক গ্রাম
একসঙ্গে বেটে সরবত করে
কয়দিন খেলে উপকার পাওয়া
যায়। আবার
যাদের অতিস্রাব তারা
পঞ্চমুখী জবার দুটি কুঁড়ি
ঢ়েঁকি ছাটা আতপ চাল
ধোয়া পানিতে বেটে এক
কাপ পরিমাণ সরবত করে
খেলে শতভাগ উপকার পাওয়া
যাবে।
টাক রোধে জবা
ফুল
অনেকের
মাথায় টাক পড়ে যায
অথবা চুল স্বাভাবিক আছে
অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গার চুল
উঠে টাক হয়ে গেছে,
এ অবস্থায় জবা ফুল বেটে
ওখানে লাগালে কিছু দিনের
মধ্যে চুল গজাবে।
জবা গাছের টাটকা পাতার
রস এবং সমপরিমাণ জলপাইয়ের
তেল মিশিয়ে ভালোভাবে ফোটাতে
হবে। রস
তেলের মধ্যে মিশে যাওয়ার
পর যখন শুদু তেল
থাকবে তখন পাত্র নামিয়ে
ঠান্ডা করে কাচের বোতলে
ভরে রাখতে হবে।
এর পর নিয়মিত লাগালে
চুল লম্বায় বৃদ্ধি পাবে ও
সহজে পড়বে না।
চোখের
কোণে ক্ষত হয়ে পুঁজ
পড়ছে। সে
ক্ষেত্রে জবা ফুল বেটে
চোখের ভিতরটা বাদ দিয়ে
চোখের উপর ও নিচের
পাতায় গোল করে লাগিয়ে
দিলে উপকার পাওয়া যায়।
হাতের খসখসে ভাব
দুর
করতে
জবা
ফুল
শীতকালে
হাতের তালুতে চামড়া উঠে
খসখসে হয়ে গেলে জবা
ফুল তালুতে মাখলে খুব
উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি কাশিতে জবা
ফুল
যে কোন কারণে সর্দি
বা কাশি হলে জবা
গাছের টাটকা মূল তিন
থেকে চার গ্রাম পরিষ্কার
পানি দিয়ে বেটে তার
রসটা আধা কাপ ঠান্ডা
পানিতে মিশিয়ে সকালে একবার
ও বিকেলে একবার খেলে
দুই – তিন দিনের ভেতর
খুসখুসে কাশি বা সর্দি
ভালো হয়ে যাবে।
onek upokari
ReplyDeleteVery good
ReplyDeleteOmg
ReplyDelete